Disable Preloader

Blog Details

সফল জীবনের চাবিকাঠি

১। আত্মনিয়ন্ত্রণঃ নিজের উপর প্রভুত্ব হাসিল না করতে পারলে, কোন মানুষই প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হতে পারে না। সকল মহৎ কাজের মূলেই রয়েছে আত্মনিয়ন্ত্রণ। 

২। নির্জনতাঃ প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় একা কাটাতে হবে। হোক পনেরো মিনিট বা পঞ্চাশ মিনিট, প্রতিদিন  একটু সময় নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। খুঁজতে হবে আমি কে, আমার উদ্দেশ্য কি?সম্ভব হলে প্রতিদিন অন্তত একবার কিছু সময় অন্তত ৫ মিনিট হলেও প্রকৃতির মাঝে যাওয়া। 

৩। শারীরিক কসরতঃ আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতকে উপভোগ করতে হলে শরীরকে রাখতে হবে সুস্থ। শরীর নামক মন্দিরটির পুষ্টি বর্ধনের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। শরীরের সাথে রয়েছে মনের সম্পর্ক। শরীর ভাল থাকলে মনও ভাল থাকে। মনের কর্মক্ষমতা বাড়ে। 

৪। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহনঃ দামি দামি রেস্তোরায় আমরা দাম দিয়ে খাবার খাই ঠিকই কিন্তু পুষ্টি মানের দিকে দিয়ে তা অতি নিম্নমানের। এ ধরনের খাবারের একটা কুপ্রভাব পড়ে আমাদের জীবনে। এ সব খাবার আমাদের মানসিক ও দৈহিক শক্তি ও উদ্যমকে নিঃশেষ করে দেয়।  দেহকে পুষ্টি যোগালে মনও পুষ্ট হয় বলেই আমাদের উচিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। 

৫। জ্ঞানার্জনঃ "জ্ঞানই শক্তি" কে জানে না এই কথাটি। সফল মানুষদের জীবনী পড়লে জানা যায় তারা সবাই ছিলেন জ্ঞান পিপাসু। বই ছিল তাদের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। প্রতিদিন অন্তত ৩০মিনিট বই পড়তে হবে। 

৬। আত্ম - সমালোচনাঃ প্রতিদিনই কিছু সময় নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। নিজের করা কাজ গুলোর সমালোচনা করতে হবে। কাজগুলোর মধ্যে কোনগুলো অন্য উপায়ে করা যেত। যেমনঃ একজনের উপর রাগ না করেও হয়ত তার প্রশ্নের উত্তর দেয়া যেত। 

৭। ভোরের পাখিঃ নিয়মিত সকালে উঠা লাগবে। ভোরের সূর্যের আলো এবং আবহাওয়ার রয়েছে ঐশ্বরিক ক্ষমতা যা আমাদের শরীর ও মনকে পুষ্ট করে।

৮। অটোসাজেশনঃ আমি একজন ভাল মানুষ, আমি দয়ালু, আমি সৎ, আমি পরিশ্রমী এ ধরনের বহু কথা নিজের সাথে নিজে বলাই অটোসাজেশন। নিয়মিত নিজের মনকে অটো সাজেশন দিতে হবে।